স্বদেশ ডেস্ক:
ঢাকাগামী একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় জয়পুরহাটের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। শনিবার ভোর ৫টার দিকে আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুর আউট সিগন্যালের আগে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর থেকে আক্কেলপুর রেলস্টেশনে ঢাকাগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেন, সান্তাহার রেলস্টেশনে পঞ্চগড়গামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেন এবং চিলাহাটীগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেন আটকা পড়েছে। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।
আক্কেলপুর রেলস্টেশনের মাস্টার তোফাজ্জল হোসেন জানান, পঞ্চগড় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী একতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি শনিবার ভোর ৪টা ৪৮ মিনিটে আক্কেলপুর রেলস্টেশন ছেড়ে যায়। ট্রেনটি ছেড়ে যাওয়ার ১২ মিনিট পর আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুর রেলস্টেশনের আউট সিগন্যালের আগে একটি বগির চারটি চাকা লাইনচ্যুত হয়। ট্রেনটি তিলকপুর রেলস্টেশনে আটকা রয়েছে। এরপর ঢাকাগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেন ভোর ৫টা ৮ মিনিটে আক্কেলপুর ঢোকে। তখন থেকে ট্রেনটি আক্কেলপুর রেলস্টেশনে আটকা আছে।
সান্তাহার রেলওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকিউল আজম জানান, একতা এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুতের ঘটনায় কোনো হতাহত হয়নি। ট্রেনের ছয়টি বগি সান্তাহার স্টেশনে রয়েছে। লাইনচ্যুত বগি উদ্ধারের পর বাকি বগি সান্তাহার স্টেশনে পৌঁছে ট্রেন চলাচল শুরু করবে। এতে সান্তাহার থেকে পার্বতীপুরগামী ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
অপরদিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনটি ও খুলনা থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটীগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি সান্তাহার রেলস্টেশনে আটকে রয়েছে। তিলকপুর স্টেশনে একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বিরতি ছিল না।
আক্কেলপুর রেলস্টেশনে দেখা গেছে, ঢাকাগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি আক্কেলপুর রেলস্টেশনের এক নম্বর লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। ট্রেনটির ছাঁদ ও বগির কোথাও ফাঁকা নেই। লাইন সচল হতে দেরি হওয়ায় অনেক যাত্রী ট্রেন থেকে নেমে বাসযোগে বগুড়ায় যাচ্ছেন।
তিলকপুর রেলস্টেশনের মাস্টার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) হাবিবুর রহমান বলেন, একতা এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার কথা কন্ট্রোলে জানানো হয়েছে। ঈশ্বরদী থেকে রিলিফ ট্রেন আসার পর বগিটি উদ্ধার করলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে। এজন্য আরো কিছু সময় লাগবে।